• Ea eam labores imperdiet, apeirian democritum ei nam, doming neglegentur ad vis. Ne malorum ceteros feugait quo, ius ea liber offendit placerat, est habemus aliquyam legendos id.
  • Ea eam labores imperdiet, apeirian democritum ei nam, doming neglegentur ad vis. Ne malorum ceteros feugait quo, ius ea liber offendit placerat, est habemus aliquyam legendos id.
  • Ea eam labores imperdiet, apeirian democritum ei nam, doming neglegentur ad vis. Ne malorum ceteros feugait quo, ius ea liber offendit placerat, est habemus aliquyam legendos id.

Saturday, 8 January 2011

ইন্টারনেট ব্যবহার করে টাকা উপার্জন




       
ইন্টারনেট ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করা যায়। চাকরীর জন্য ধর্না দিতে হয় না, চাকরীক্ষেত্রের বিরূপ পরিবেশ মুখ বুজে মেনে নিতে হয় না, এখানে-ওখানে দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। ঘরে বসে নিজের সুবিধেজনক সময়ে কাজ করলেই চলে। দক্ষতা যত বেশি আয় তত বেশি, এই একটামাত্র নিয়মে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। অন্তত কাগজে কলমে। বাস্তবে আপনি কতটা করতে পারবেন সেটা আপনার ওপর। এখানে কিছু পদ্ধতির কথা পর্যায়ক্রমিকভাবে জানানো হচ্ছে।
প্রথমেই একটা কথা জানিয়ে রাখা ভাল, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আয়ের সুত্র অন্য দেশ। কাজেই টাকা কিভাবে আপনার হাতে পৌছাবে সেটা ঠিক করে নিন। বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে টাকা গ্রহন করার বিধিনিষেধ থাকায় সহজ কাজটিও জটিল হয়ে দাড়াতে পারে। পে-পল (বিনামুল্যের এবং সহচেয়ে সহজ, জনপ্রিয় এবং প্রচলিত পদ্ধতি) ব্যবহারের জন্য অন্যদেশে ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন হতে পারে।
পদ্ধতি- : বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক
সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায় এই কাজের মাধ্যমে। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে প্রচুর পরিমান ভিজিটর যায় এমন ওয়েব সাইট। ভিজিটর যত বেশি বিজ্ঞাপনের মুল্য তত বেশি (সংবাদপত্র কিংবা টিভি বিজ্ঞাপনের সাথে তুলনা করতে পারেন) বিজ্ঞাপন আপনাকে খুজতে হবে না, অন্যরা আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেবে এবং ভিজিটর সেখানে ক্লিক করলেই আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। আপনার ক্লায়েন্ট যেহেতু বিশ্বজুড়ে সেহেতু আপনার আয় তাদের তুলনায় বেশি হওয়া সম্ভব।
দক্ষতা : ধরে নেয়া হচ্ছে আপনার চালু ওয়েবসাইট রয়েছে। না থাকলে নিজে অথবা অর্থ ব্যয় করে তৈরী করে নিতে হবে। নিয়মিত সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। কাজেই অন্তত সাধারন পর্যায়ের এইচটিএমএল জানতে হবে। যদি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরী করতে হয় তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন জানা থাকলে খরচ কমবে।
ব্যবসা শুরুর খরচ : যেহেতু বিপুল পরিমান ভিজিটর আপনার লক্ষ্য সেহেতু নিজস্ব ডোমেই-হোষ্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন। আপনার খরচের তালিকায় থাকবে ওয়েব পেজ তৈরী, ডোমেইন নেম (অনেক ক্ষেত্রেই হোষ্টিং এর সময় বিনামুল্যে পাওয়া যায়) এবং হোষ্টিং খরচ। বিশ্বের সেরা হোষ্টিং সার্ভিসের জন্য খরচ মোটামুটি ৫০ ডলার। এছাড়া যে কম্পিউটার ব্যবহার করবেন সেই হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার খরচের সাথে যোগ হবে। খুব বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনার জন্য দামী সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহার সবচেয়ে বড় সুবিধে, অফিসের জন্য খরচ নেই।
জনবল : আপনি একাই এই ব্যবসা চালু করতে পারেন। তবে দুচারজন সঙ্গিসাথি সবসময়ই বড় কাজের সহায়ক। ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির সাথেসাথে জনবল বাড়তে পারে।
-বিজনেস পদ্ধতি : আপনাকে যেহেতু লেনদেনের এবং যোগাযোগের কাজ পুরোটাই অনলাইনে করতে হবে সেহেতু -বিজনেসের নিয়মকানুন জানতে হবে। খুব সহজেই ইন্টারনেট খুজে এসব তথ্য জেনে নিতে পারেন।
যেদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন : যেহেতু আপনি বড় আকারের ব্যবসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেহেতু যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে সেটি কাজের জন্য উপযোগি কিনা যাচাই করে নেয়া প্রয়োজন। বিজ্ঞাপনের ধরন অনুযায়ী জটিল এবং দামী সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে (বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনার সফটঅয়্যারগুলি নিজেই বিজ্ঞাপনকে বিভিন্ন পেজে দেখানোর জন্য সাজিয়ে দেয়)
সার্ভারে কতটুকু যায়গা প্রয়োজন হতে পারে সেটা নিশ্চিত হয়ে নেয়া প্রয়োজন। ভিডিও ব্যবহার করলে বেশি যায়গা প্রয়োজন হতে পারে। সার্ভারে এজন্য বেশি অর্থ দিতে হয়।
ক্লায়েন্ট যেন সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে (টেলিফোন অথবা অনলাইন চ্যাট) সে ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।
প্রচারের জন্য যতটা সম্ভব নিজের সাইটের বিজ্ঞাপন দেয়া প্রয়োজন। এছাড়া ওয়েব সাইটের প্রচারের জন্য যে পদ্ধতিগুলি প্রচলিত সেগুলি ভালভাবে দেখে নেয়া প্রয়োজন। জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলি দেখলে সেখান থেকে ধারনা পাওয়া যেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর নিয়ম মেনে চলুন।


পুরো কাজের জন্য পরিকল্পনা আগেই করা প্রয়োজন। পৃথিবীর শতশত কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনার নিজের ওয়েবসাইট পরিচিত করার কাজটি সহজ ধরে নেবেন না। শুরু করলেই সাথেসাথে টাকা আসতে শুরু করবে এটাও মনে করবেন না। টাকা আয়ের কোন সহজ পথ নেই। ওয়েবসাইটকে জনপ্রিয় করতে, ভিজিটরদের আকৃষ্ট করতে নানারকম পদ্ধতি প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিশ্লেষন করে ধারনা পেতে চেষ্টা করুন কোন ধরনের সাইট তৈরী সম্ভব, কতটুকু সাফল্য পাওয়া সম্ভব। এজন্য কয়েকমাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
শুরুর জন্য নিজের ওয়েবসাইট তৈরী করে জনপ্রিয় করার কাজটি বড় এবং জটিল মনে হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ধারাবাহিকে তুলনামুলক ছোট এবং সহজ অন্য পথগুলি দেখুন।
আপডেট
ঠিক কিভাবে টাকা আয় হবে জানতে চেয়েছেন কেউ কেউ। কোন প্রতিষ্ঠান যদি আপনার ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চায় তার কাছে টাকা নেবেন। অনেকটা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়াপর মত। এটা একটা পদ্ধতি।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে গুগলের এডসেন্স ব্যবহার করা।
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এডস বাই গুগল লেখা বিজ্ঞাপন লিংক নিষ্চয়ই দেখেছেন। এজন্য গুগলের ওয়েবসাইটে নিজের তথ্য দিয়ে রেজিষ্টার করতে হয়। এরপর তাদের নির্দেশ মত কিছু কোড ব্যবহার করলেই আপনার ওয়েব সাইটের বিষয়ের সাথে মিল রেখে বিজ্ঞাপন আসতে থাকবে। ভিজিটর যখন কোন লিংকে ক্লিক করবেন তখন প্রতি ক্লিকের জন্য আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। লিংকভেদে অর্থের পরিমান কমবেশি হয়।
কাজেই, আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর যত বেশি ক্লিক করার সম্ভাবনা তত বেশি, আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। আবার বিনোদন মুলক লিংকের চেয়ে বিষয়ভিত্তিক লিংকে ক্লিকে অর্থের পরিমান বেশি। যেমন ক্রিকেট বিষয়ক লিংকে ক্লিকের জন্য হয়ত পাবেন কয়েক সেন্ট, অর্থ বিষয়ক লিংকে পাবেন কয়েক ডলার।
নিজের ওয়েব সাইটে নিজেই ক্লিক করে আয়ের চেষ্টা করবেন না। ফলস ক্লিক যাচাই করার ব্যবস্থা আছে। সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট বাতিল করা হবে।
যেকোন সময় আপনার একাউন্টে জমা টাকার পরিমান জানা যাবে এবং কোন সময়ের বিল পেতে চান জানালে গুগল আপনার ঠিকানায় ব্যাংকচেক পাঠাবে।
গুগলের এডসেন্স সবচেয়ে সুবিধেজনক। তাদের বিনামুল্যে ওয়েব সার্ভিস ব্লগার (ব্লগষ্পট) ব্যবহার করলে ওয়েব হোষ্টিং এর খরচও বেচে যায়, তারা ব্যাংক চেক পাঠায় যা ভাঙানো সহজ।
আরো অনেকেরই এধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক চালু আছে।
  
 ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের জন্য কোন কাজে হাত দেয়ার সময় যে বিষয়গুলিতে দৃষ্টি দেয়া হয় তা হচ্ছে সে কাজটি কত কম বিনিয়োগে করা যায়, কত কম দক্ষতা প্রয়োজন হয়, কাজ পাওয়া কতটা সহজ হয় এবং লেনদেনের বিষয়টি কতটা সহজ হয়। যে কোন কাজ করতেই কিছুটা দক্ষতা প্রয়োজন হয়। তবে সাধারন থেকে মোটামুটি মানের গ্রাফিক ডিজাইন করতে সমস্যা হবার কথা না কারোই। সেই দক্ষতা লাগিয়ে করতে পারেন ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরীর কাজ।
ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি আয় হয় বিজ্ঞাপন থেকে এটা নিশ্চয়ই জানেন। এর বড় একটা আয় আসে যেসকল ওয়েব সাইটে লক্ষ লক্ষ ভিজিটর যায় সেখানে ব্যানার এড দিয়ে। জনপ্রিয় সাইটে ঢুকে সেটা যাচাই করতে পারেন। উদাহরন বাংলাদেশে, প্রথম আলো। তথ্যের চেয়ে বিজ্ঞাপনের পরিমান বেশি।
বাংলাদেশে এই বিজ্ঞাপনগুলি সাধারনত নিজ দায়িত্বে তৈরী করা হয়। সারা বিশ্বের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা একাজ টাকা দিয়ে করিয়ে নেয়। কারন একটাই, যেখানে খরচ কম সেখানে করানো। শুধুমাত্র -মেইল যোগাযোগ ব্যবহার করেই কাজ পাওয়া এবং করে দেয়া সম্ভব।
কি দক্ষতা প্রয়োজন : আপনার ডিজাইনের দক্ষতা কতখানি তার ওপর কাজ পাওয়া এবং মজুরী পাওয়ার বিষয় নির্ভরশীল। একাজ করতে হলে গ্রাফিক ডিজাইনে দক্ষতা বাড়াতে হবে। যদি মুল সফটওয়্যার কেনার বিষয় না থাকে তাহলে ফটোশপ এবং ইলাষ্ট্রেটর সবচেয়ে উপযোগি সফটওয়্যার। কিছুটা অপ্রাসংগিক হলেও বলা প্রয়োজন, ভাল কাজের নতুন ভার্শনের পেছনে ছোটা প্রয়োজন নেই। স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান, আয়রনম্যান থেকে শুরু করে সবধরনের কমিক তৈরীর কোম্পানী মার্ভেল ব্যবহার করে ফটোশপ ভার্শন এবং ৪। আপনি ফটোশপ . এবং ইলাষ্ট্রেটর ব্যবহার করে যেতে পারেন। ইদানিং এনিমেটেড ব্যানার এর চাহিদা বেড়েছে। একাজে টাকাও বেশি পাওয়া যায়। এজন্য ফ্লাশ শেখা যেতে পারে। ডজন ডজন সফটওয়্যারের পেছনে না ছোটাই ভাল।
কি মুলধন প্রয়োজন : একটি কম্পিউটার এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার, এর বাইরে আরকিছু প্রয়োজন নেই। তবে দক্ষতা বাড়লে আরো দামী কাজে হাত দিলে স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা, মাউসপেন (গ্রাফিক ট্যাবলেট) ইত্যাদির কথা ভাবা যেতে পারে।
কি জনবল প্রয়োজন : একজন ব্যক্তির পার্টটাইম কাজই যথেষ্ট।
কাজ কিভাবে পাবেন : প্রচারেই প্রসার, এই নিয়মে নিজের ব্যানার বিজ্ঞাপন দেয়ার ব্যবস্থা করুন। কোথাও বিনামুল্যে ব্যানার তৈরীর সুযোগ থাকলে সেটা কাজে লাগানে এবং তাতে নিজের নাম-ঠিকানা-যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখুন। বিভিন্ন ধরনের এড এজেন্সি রয়েছে মধ্যস্থতা করার জন্য। তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ব্রাউজারে কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করতে শুরু করুন যতক্ষন না প্রয়োজনীয় যায়গায় পৌছানো যায়।
অতিরিক্ত আয় : দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে আরো বড় কাজের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। -বুকের প্রচ্ছদ, প্রচারপত্র, এমনকি ওয়েব পেজ ডিজাইনের দিকেও ক্রমে দৃষ্টি দিতে পারেন।
আপনি যখন ইন্টারনেটে কোন পণ্যের খোজ করেন তখন নিশ্চয়ই অনেক সময় অবাক হয়ে ভাবেন, অমুক জিনিষের বর্ননা এল কোথা থেকে। যে জিনিষ বাজারে বিক্রি হবে আরো তিন মাস পর। মোবাইল ফোন হোক, ক্যামেরা হোক, কম্পিউটারের কোন ডিভাইস হোক, সফটওয়্যার হোক, কোন বই হোক অথবা হলিউডের মুভি হোক কিংবা টুথপেষ্ট-সাবান হোক।
কোন পন্য বাজারে আসার কয়েক মাস আগে থেকে সে সম্পর্কে প্রচার শুরু হয়। রিভিউ ছাপা হয়। টাকা দিয়ে লিখিয়ে নেয়া হয় বলে এর নাম পেইড রিভিউ। বিভিন্ন কোম্পানী শতশত কোটি ডলার ব্যয় করে এই প্রচারনায়। আপনিও ঘরে বসে রিভিউ লেখার কাজ করতে পারেন।
কি দক্ষতা প্রয়োজন : বাংলাদেশে এই ব্যবস্থা পেশাদারীভাবে চালু হয়নি। যেটুকু হয় তা মুল বিষয় গোপন রেখে। খবরের কাগজে যখন কোন কোম্পানীর পরিচিতি কিংবা পন্যের আলোচনা-সমালোচনা দেখেন ধরে নেবেন সেটা টাকা দিয়ে করা হয়েছে, যে যত অস্বিকারই করুক। পত্রিকার চেয়েও সুবিধাজনক ইন্টারনেটে এর ব্যবহার একেবারেই নেই। কাজেই আপনাকে যেতে হবে বিশ্ব বাজারের দিকে। এজন্য ইংরেজিতে রিভিউ লেখায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যদি এই মুহুর্তে সেটা আয়ত্তে না থাকে তাতেও ঘাবড়াবার কিছু নেই, বিজ্ঞাপন দেখে ইংলিশ শেখানোর ভাওতাবাজির শিকার হওয়ার প্রয়োজন নেই। স্কুলের গ্রামার বই খুলে বসুন। বাজারে বহু বই পাওয়া যায় সব ধরনের ইংরেজি শেখার জন্য। ইন্টারনেটে ইংরেজি শেখার যায়গা রয়েছে। লোকে বলে ইংরেজি সবচেয়ে সহজ ভাষা। চেষ্টা করলে কয়েক মাসে সেটা আয়ত্ত করা সম্ভব। যে বিষয়ে আপনার আগ্রহ সেই বিষয়কে টার্গেট করে যতটা সম্ভব জানার চেষ্টা করুন। ইন্টারনেটে সেই বিষয়ের রিভিউগুলি পড়ুন। উদাহরন হিসেবে, যদি ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ থাকে এবং ক্যামেরার রিভিউ লিখতে চান তাহলে ফটোগ্রাফি এবং ক্যামেরার খুটিনাটি জেনে নিন। মোটকথা আপনি বিশেষজ্ঞ মত দিয়ে রিভিউ লিখবেন কাজেই সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
কি মুলধন প্রয়োজন : একটি কম্পিউটার, ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার আপনার মুলধন। বাকিটা জ্ঞান এবং তার প্রয়োগ।
কি জনবল প্রয়োজন : একজন ব্যক্তির পক্ষে কয়েকঘন্টা সময় ব্যয় করে এধরনের কাজ করা সম্ভব। সহযোগিতা এবং তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ বাড়ানোর জন্য সঙ্গি থাকলে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।
কাজের সুযোগ : আগে যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিটি পন্য বাজারে আসার আগেই তার পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়। কাজেই আপনার সামনে লক্ষ লক্ষ পন্য এবং বিষয় রয়েছে রিভিউ লেখার জন্য।কাজ কিভাবে পাবেন : আপনার আগ্রহের বিষয় ঠিক করে সেধরনের ওয়েবসাইট ভালভাবে দেখতে শুরু করুন। অনেক যায়গায় সরাসরি রিভিউ লেখার জন্য টাকার অফার দেখতে পাবেন। অল্প টাকা অথবা বিনা টাকায় হলেও শুরুতে লিখে হাত পাকাতে পারেন।
কোন এজেন্সির সদস্য হতে পারেন। এরা কোম্পানীগুলির কাছ থেকে কাজ পায় তারপর সেগুলি সদস্যদের কাছে করিয়ে নেয়। শেখার কাজেও তারা সবরকম সাহায্য করে। এদের কাছে লক্ষ লক্ষ তৈরী রিভিউ রয়েছে। সদস্য হলে সেগুলি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। paid review জাতিয় কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তাদের খুজে পাবেন। একটু সাবধানবানী, ইন্টারনেটে ব্যবসার সুযোগের পাশাপাশি ঠগ-বাটপারেরও অভাব নেই। কেউ কেউ সদস্যপদ দেয়ার কথা বলে কিছু টাকা নিয়ে সেটা মেরে দিতে পারে। সুযোগ থাকলে যাচাই করে নিন, সুযোগ না থাকলে এটুকু ঝুকি নিতেই হবে।
কি পরিমান আয় করা সম্ভব : বিষয়টি নির্ভর করে আপনার যোগ্যতার ওপর। সাধারন রিভিউ লিখে ৫০-১০০ ডলারে খুশি থাকতে পারেন। সত্যিকারের বিশেষজ্ঞ রিভিউ লিখে হাজার ডলারও পেতে পারে। সেইসাথে যে জিনিষের রিভিউ লিখবেন সেটা ফাউ হিসেবে পাবেন।


আপনি কি গ্রাফিক ডিজাইনে আগ্রহি ? ডেস্কটপে সুন্দর সুন্দর ছবি দেখতে পছন্দ করেন এবং সময়ে নিজে ফটোশপে সুন্দর কিছু তৈরী করেন। কিংবা সুন্দর কিছু দেখলে ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি ছবি উঠান। এরপর সেগুলি আরো সুন্দর করেন ফটোশপে।
ফটোশপ ব্যবহার করে ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরীর কথা আগে উল্লেখ করা হয়েছে। নিজের ডিজাইন কিংবা ক্যামেরায় উঠানো ছবি বিক্রি করাও ইন্টারনেটে আয়ের একটি পথ হতে পারে।
কি যোগ্যতা প্রয়োজন
অবশ্যই আপনার দক্ষতা থাকতে হবে গ্রাফিক ডিজাইনে। এমন ইমেজ তৈরী করবেন যা অন্যরা দেখে প্রশংসা করবে। ফটোগ্রাফ এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স এক করার জন্য ফটোগ্রাফিতেও দক্ষতা প্রয়োজন। সেইসাথে ছবিগুলিকে ওয়েব সাইটে রাখার জন্য ওয়েব সাইট তৈরী এবং রক্ষনাবেক্ষনের কাজও নিজেই করতে পারেন। সেক্ষেত্রে এবিষয়েও কিছু জ্ঞান প্রয়োজন হবে।
খরচ
এজন্য মুল বিনিয়োগ আপনার মেধা। সেইসাথে কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ, ওয়েবসাইটের খরচ ইত্যাদি।
আয় কিভাবে হবে
প্রথমত আপনার ওয়েবসাইট এমনভাবে সাজাতে হবে যেখানে ভিজিটর আসবেন আগ্রহ নিয়ে (এরফলে থেকে অন্যান্য আয়ও আসতে পারে) সেখানে বিশেষ একটি অংশ থাকবে যা রেজিষ্টার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য। মাসিক অর্থ দিয়ে তারা সেখানে থাকা ইজেমগুলি ডাউনলোডের সুযোগ পাবেন। সারা বিশ্বের ভিডিটরকে যদি আপনার সাইটে আনতে পারেন তাহলে প্রত্যেকের কাছে সামান্য করে হলেও মোট আয়ের পরিমান যথেষ্ট। শুরুতে হয়ত বেশি ক্রেতা পাবেন না, লেগে থাকলে একসময় বিশাল ব্যবসা হতে পারে। সংগ্রহ বড় করার জন্য অন্যদের কাছ থেকে ছবি নিয়ে নিজের সাইটে রাখতে পারেন। তাদেরকে আয়ের অংশ দিয়ে নিজের লাভ আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব এভাবে।
এধরনের সাইট সম্পর্কে জানার জন্য ভিজিট করুন
http://www.digitalblasphemy.com
http://www.themes.org
 
সাইটের আকর্ষন বাড়াবেন কিভাবে
শুধুমাত্র উচুমানের ছবি রাখবেন। সাধারন ছবি রাখার অর্থ সাইটের মান কমানো এবং অর্থ দিয়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমানো। এছাড়া নিয়মিতভাবে নতুন ছবি যোগ করাও জরুরী। বেশকিছু ছবি বিনামুল্যে ডাউনলোডের জন্য রাখতে পারেন।
প্রচার করবেন কিভাবে
ওয়েবসাইট প্রচারের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ডিরেক্টরী, মেটা ইনডেক্স ইত্যাদির মাধ্যমে যত বেশি সম্ভব প্রচারের ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে অন্য ওয়েব সাইটে ব্যানার বিজ্ঞাপন দিন।
ভিজিটরদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। তাদের জন্য প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করুন এবং বিজয়ীদের বিনামুল্যে সমস্যা হওয়ার সুযোগ দিন।

0 comments:

Post a Comment

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

 
Design by netdohoa | Support for this Theme dohoavietnam